শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন
জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবুর মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
তার মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের কেবিন নং ২০৯ ভর্তি করা হয়েছে। তার জন্য তিনি সবার নিকট দোয়া প্রার্থী!
তিনি বলেন, হাসপাতালই যেন ঘর বাড়ি। নাওয়া-খাওয়া, ঘুমের পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালন। আছি মায়ের সঙ্গে। সাত দিন হলো মা হাসপাতালে। ‘ব্রেইন স্ট্রোক’ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
ডাক্তাররা বলেছেন, ‘ঝুঁকি কমে গিয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে সারতে বেশ সময় লাগবে। সময়টা ১৫-২০ দিন হতে পারে।’
মায়ের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থী।
সাতদিনে অসংখ্য শুভাকাংখী, বন্ধু-বান্ধব, স্বজনরা ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন, অনেকে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন। সহকর্মী বাহার ভাই, উজ্জল দা, চয়ন, শাহাদাৎ, হৃদয়ের আসাটা অনেকটাই নিয়মিত। এসেছেন বাপ্পী দা, মনির ভাই, বেলাল ভাই, মুজিব ভাই।
মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান সাঈদ ভাই দুইদিন মাকে দেখে গেছেন। একদিন এমনিতেই খোঁজ নিয়েছেন। আখাউড়া থেকে ছুটে এসেছেন আরিফ ভাই (পুলিশ পরিদর্শক) ও ভাবী। আখাউড়া লোকনাথ সেবাশ্রমের পূজারি আশীষ মহারাজ কাকা তো প্রতিদিনই ঠাকুরের কাছে নিয়মমাফিক প্রার্থণার আয়োজন করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকা ঘনিষ্ট আত্মীয়দের পদচারণা প্রতিদিনের। মা-ছেলের তিন বেলার খাবার আসে সেই স্বজনদের বাড়ি থেকেই। দূর-দূরান্ত থাকা স্বজনরা হাতে করে নিয়ে আসছেন এটা সেটা। আমেরিকা, ভারত থেকেও খোঁজ নিয়েছেন স্বজন ও শুভাকাংখীরা।
হাসপাতালে সময় কাটানোটা মোটেও সুখের নয়। যত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরা যায় ততই মঙ্গল। তবুও তৃপ্তি পাচ্ছি মায়ের পাশে থাকতে পেরে।
পেশাগত দায়িত্ব পালনে নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। হাসপাতালে মায়ের পাশের বিছানাতে বসেই ল্যাপটপে কাজ সেরে নিচ্ছি। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় নি।
আমার অকপটেই একদিন ছবি তুলে পিসাতো ভাই সৌমেন। মা তখন আমার ছেলে রুদ্র’র সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলো। আমি ব্যস্ত মাকে খাওয়ানো নিয়ে। সৌমেন ছবি পাঠানোর পর মনে হলো এফবিতে পোস্ট করে মায়ের জন্য আশীর্বাদ চাওয়া যেতে পারে। পেশাগত কাজের চাপ না থাকায় আজ লিখেই ফেললাম।
সবশেষে আবারও মায়ের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থী।